শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বাংলাদেশ আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা কাজী সুলতান মাহমুদ অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন। ওই গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী এবং ওই আওয়ামী লীগ নেতা তিন সন্তানের জনক।
গত ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় জুরাইন কালামিয়ার বাজার এলাকার আনিসুর রহমানের স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী সায়মা চৌধুরী বিথীকে নিয়ে পালিয়ে যান কাজী সুলতান মাহমুদ। এ সময় বিথীর সাথে ছিলো আনিসুর রহমানের ২ বছরের ছেলে সাইফান এবং বিশ হাজার টাকা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ২০০৪ সালে পারিবারিক ভাবে বিথী ও আনিসুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালোই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। তাদের তিন বাচ্চার মধ্যে বড় মেয়ে ফিওণার বয়স ১৪ এবং মেঝো ছেলে আলাফের বয়স ১১ বছর। কিন্তু হঠাৎ সব এলোমেলো হয়ে গেলো। মায়ের এই কান্ড কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা ফিওনা ও আলাফ। বিথীর মা-বাবাও তাকে বঞ্চিত ঘোষণা করেছে ইতোমধ্যে।
এদিকে তিন বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পাগল প্রায় আনিসুর রহমান। বিথীর নিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফেরৎ চান তিনি। এ ঘটনায় শ্যামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তাছাড়া উভয়েই এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে তিন সন্তানের জনক (১ ছেলে,২ মেয়ে) সুলতান মাহমুদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে এমনিতেই আলোচনা ছিলেন আ’লীগ নেতা ও দোলেশ্বর আহলে হাদিস মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি কাজী সুলতান মাহমুদ। তিনি করোনাকে জয় করতে পারলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পরপরই তার এমন কর্মকান্ডে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বমহলে।